জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা শেষে রাতে বাড়ি ফিরছিলেন এক সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থী। এ সময়ে ওঁৎপেতে থাকা পাঁচ দুর্বৃত্ত তাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ
ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।ঘটনাটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন ভুক্তভোগী। তাই ভোটের মাঠ ছাড়ছেন না তিনি।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। পরে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মামলা করেন। শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মামলার আসামি বাগমারা উপজেলার মাহাবুর রহমান (২৮), আকবর হোসেন (৩৫), সোহেল রানা (২৪), দুলাল হোসেন (২৫) ও ফজলুর রহমানকে (৪৮) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, অনুষ্ঠিতব্য রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে বাগমারা উপজেলার সংরক্ষিত একটি ওয়ার্ড থেকে নির্বাচনের লক্ষ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেন ওই সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থী। বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে রাজশাহী থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সে সময় কয়েকজনের ভোটারের বাড়ি প্রচারণা চালাতে যান তিনি।
রাতে বাড়ি ফেরার সময় উপজেলার বাহমনিগ্রাম মোড়ে তাকে তুলে নেয় গ্রেপ্তার পাঁচ আসামি। সেখানেই তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, ওই প্রার্থীকে অস্ত্রের মুখে রেখে ধর্ষণ করা হয়।
ধর্ষণের ঘটনায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে চিকিৎসা নেন। চিকিৎসা শেষে গত বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে তিনজনের নাম ও দুজনকে অজ্ঞাত উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। ভুক্তভোগীর মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তে নেমে ঘটনার প্রমাণ পায় পুলিশ। পরে পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার ব্যাপারে স্বীকারোক্তি দেন বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
ভুক্তভোগীর এক আত্মীয় জানান, নির্বাচনের প্রচারণা চালাতে গিয়ে তিনি যেহেতু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন; ঘটনাটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন তিনি। তাই ভোটের মাঠ ছাড়ছেন না, তিনি নির্বাচন করবেন।
তিনি আরও জানান, মামলা করার পর দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের প্রতি সন্তুষ্ট ওই নারী। ঘটনার পর থেকে ভোটারদের কাছ থেকে বেশি সাড়া পাচ্ছেন তিনি।